যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’ নামের প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি সংগঠনের আয়োজনে এক বারবিকিউ পার্টিতে কয়েক দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের অদূরে ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনা রেস্টুরেন্টে স্থানীয় সময় ৪ আগস্ট রাতে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সময় বিকেল থেকে বারবিকিউ পার্টি শুরু হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত পার্টি চলে।
বারবিকিউ পার্টি চলাকালে পৃথকভাবে অন্তত পাঁচটি মারামারির ঘটনা ঘটে। বারবিকিউ পার্টিতে আগত বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে তা হাতাহাতি-মারামারিতে রূপ নেয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
যাঁদের মধ্যে মারামারি হয়েছে, তাঁরা হলেন জসি চৌধুরী ও লিটু চৌধুরী; মো. তুহিন ও তানভীর বাবু; নমি আলম ও মুক্তা রহমান; জাহাঙ্গীর মিয়া ও দুলাল মিয়া এবং সায়েম ও শহীদ।
মারামারি প্রসঙ্গে লিটু চৌধুরীর ভাষ্য, ‘আমি আমার স্ত্রীসহ রেস্টুরেন্টের ভেতরে খাওয়াদাওয়া করছিলাম। এমন সময় জসি চৌধুরী এসে সবাইকে গালাগালি করে বের হয়ে যেতে বলেন। আমি তখন তাঁকে বললাম, ভাই পরিবার নিয়ে এসেছি। এই ধরনের গালিগালাজ করা ঠিক না। তখন সে আরও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। একপর্যায়ে আমি বাইরে বেরিয়ে এলে জসি আমাকে চড় মারেন। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে আমার মনে হয়।’
লিটু চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে জসি চৌধুরীর বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
অপর একটি মারামারিতে জড়িত মো. তুহিনের ভাষ্য, ‘রফিক ভাই বিফ স্টেক তৈরি করেছিলেন। সবাই লাইনে থাকলেও তানভীর বাবু লাইন ভেঙে খাবার নিতে চাইলে আমি বাধা দিই। তখন তানভীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে আমার কিশোর সন্তানের সামনে ধাক্কা দেন। আমি আমার ছেলের সামনে মারামারি না করে পুলিশকে কল করি। পুলিশ আধঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে আসে। তবে তখন অভিযুক্তকে পুলিশ পায়নি।’
মো. তুহিনের অভিযোগের বিষয়েও তানভীর বাবুর বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বারবিকিউ পার্টিতে অন্য তিনটি মারামারির ঘটনার দুটি খাবারকেন্দ্রিক। অপরটি ‘সিনিয়র-জুনিয়র’–সংক্রান্ত। বারবিকিউ পার্টিতে উপস্থিত প্রবাসীরা জানান, বয়সে বড় জাহাঙ্গীর মিয়াকে বয়সে ছোট দুলাল মিয়া নাম ধরে ডাকলে তাঁদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়।
জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি সাকিল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নমি আলমের নেতৃত্বে এই বারবিকিউ পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল। বারবিকিউ পার্টিতে অন্তত আড়াই শ প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।