জারা রাদারফোর্ড। বয়স মাত্র ১৯ বছর। এই বয়সেই পুরোদস্তুর পাইলট। বিশ্বের সবচেয়ে কণিষ্ঠতম নারী হিসেবে সারা বিশ্ব একা বিমানভ্রমণের সংকল্প নিয়েছেন তিনি। গত বুধবার তিনি এই তিন মাসব্যাপী ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম বেলজিয়ামের কর্টরজিক-ওয়েভেলজেম বিমানবন্দর থেকে নিজের ‘শার্ক আলট্রালাইট’ বিমান নিয়ে উড়াল দিয়েছেন তিনি। বলে রাখা ভালো, শার্ক আলট্রালাইট বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন মাইক্রোলাইট এয়ারক্রাফট।
জারা ব্রিটিশ-বেলজিয়ান বংশোদ্ভূত। তার প্রত্যাশা, তার ভ্রমণের গল্প নারীদের উৎসাহিত করবে; তাতে নারীরা স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত) খাতে পড়াশোনা এবং বিমানচালনা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
জারা বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিমানচালনা বিদ্যা ও স্টেম খাতের পড়াশোনার প্রতি আমার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। আশেপাশের অন্য মেয়েদের মধ্যে আমি সেই আগ্রহ দেখতে পাইনি। আমার মনে হতো এটা খুবই দুঃখজনক ও হতাশার। আশা করছি, আমি নারীদের এই খাতে এগিয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারব।
জারা বলেন, আমি অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে বড় অ্যাডভেঞ্চারটা মহাকাশেই রয়েছে।
এই মুহূর্তে জারার লক্ষ্য, শায়েস্তা ওয়াইজের হাত থেকে বিজয়ীর খেতাব ছিনিয়ে আনা। ৩০ বছর বয়সে একা বিশ্বভ্রমণ (বিমানে) করে রেকর্ড করেছিলেন ওয়াইজ। এদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে, এই রেকর্ড এখন ম্যাসন অ্যান্ড্রুসের দখলে, যিনি ১৮ বছর বয়সে বিশ্বভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন।
জারার পরিকল্পনা মতো সব এগোলে, তার পুরো ভ্রমণ শেষ করতে তিন মাস সময় লাগবে। এই সময়ে তিনি গ্রিনল্যান্ড, চীন, নিকারাগুয়েসহ ৫২টি দেশে যাত্রাবিরতি করবেন।
যাত্রাবিরতিতে তিনি সেসব দেশের স্থানীয় কোনো পরিবারের সঙ্গে অথবা হোটেলে থাকবেন। জারার বাবা-মা দুজনেই পাইলট। ভবিষ্যতে একজন নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আগামী বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখবেন এই কিশোরী। সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স