কক্সবাজারের টেকনাফে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না মানব পাচারে জড়িত অপরাধীদের দৌরাত্ম। উক্ত উপজেলার অন্তর্গত সাগর উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পন্থায় মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য মানব পাচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে পাচারে জড়িত দালালরা।
এদিকে মানব পাচার প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা উক্ত সাগর উপকুলীয় এলাকায় তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে।তারেই ধারাবাহিকতায় ২০ জানুয়ারি দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা অবৈধ পন্থায় মালয়েশিয়া পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে অবস্থান নেওয়ার সময় ১৮ জন মালয়েশিয়াগামী ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি মানব পাচারকারী চক্রের এক দালালকেও আটক করতে সক্ষম হয়।
২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকালের দিকে এবিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত গণসংযোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন,২০ জানুয়ারি (সোমবার) রাতে টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকা থেকে ১৮ মালয়েশিয়াগামী ভিকটিম ও মানব পাচারে জড়িত এক দালালকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে উক্ত এলাকায় দায়িত্বরত নৌবাহিনীর সদস্যদের একটি দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকায় সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার করার উদ্দেশে বেশ কয়েকটি ঘরে অনেক নারী-পুরুষ ভিকটিম অবস্থান নিয়েছে। এরপর উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী অভিযানিক দলের সদস্যরা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারে জড়িত এক দালাল ও ১৮ জন মালয়েশিয়াগামী ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ভিকটিমদের মধ্যে দুই জন বাংলাদেশিসহ ১৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
১৮ ভিকটিম ও আটক মানব পাচারকারীকে পরবর্তী আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।