কাতার বিশ্বকাপের তরুণ তুর্কি স্পেনের পেদ্রি (বাঁ থেকে প্রথম), ব্রাজিলের রদ্রিগো (বা-থেকে দ্বিতীয়), ইংল্যান্ডের বেলিংহ্যাম (বাঁ থেকে তৃতীয়) ও জার্মানির মুসেইলা।
কাতার বিশ্বকাপের তরুণ তুর্কি স্পেনের পেদ্রি (বাঁ থেকে প্রথম), ব্রাজিলের রদ্রিগো (বা-থেকে দ্বিতীয়), ইংল্যান্ডের বেলিংহ্যাম (বাঁ থেকে তৃতীয়) ও জার্মানির মুসেইলা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে চোখ শুধু মেসি, নেইমার, রোনালদো কিংবা বেনজেমার মতো তারকার দিকে থাকে না। চোখ থাকে তরুণদের ওপরও। কিলিয়ান এমবাপ্পে যেমন রাশিয়া বিশ্বকাপ মাতিয়েছিলেন। জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বয় পুরস্কার। কাতার বিশ্বকাপেও ১৯৯৯ সালের পরে জন্ম নেওয়া ফুটবলারদের প্রতি নজর রাখা হবে।
অল্পের জন্য ওই লড়াইয়ে থাকছেন না ব্রাজিলের ভিনিসিয়াস জুনিয়র, উরুগুয়ের ফেদে ভালভার্দে, ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন কিংবা বিশ্বকাপ জয়ী কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ফ্রান্সের এডওয়ার্ড কামাভিঙ্গা, স্পেনের প্রেদি ও গাভি, ব্রাজিলের রদ্রিগো গোয়েস কিংবা ইংল্যান্ডের জুডে বেলিংহ্যামে সেরাটা দিতে পারলে এবং তাদের দলে বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত ফল পেলে জিততে পারেন ওই পুরস্কার।
পেদ্রি (স্পেন): গত বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ইউরোর সেরা তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন পেদ্রি। বার্সেলোনায় খেলা স্পেনের এই মিডফিল্ডারের বয়স ১৯ বছর হলেও তিনি এরই মধ্যে তারকা খ্যাতি পেয়ে গেছেন। বিশ্বকাপ তাকে নিয়ে যেতে পারে আরও একধাপ ওপরে।
রদ্রিগো গোয়েস (ব্রাজিল): রদ্রিগো কেন ব্রাজিল দলে এই প্রশ্ন উঠছে না। কারণ অল্প বয়সেই ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে মানিয়ে নিতে শিখেছেন তিনি। বৈচিত্রপূর্ণ ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। ফরোয়ার্ডের সব পজিশনেই খেলতে পারেন। রিয়াল মাদ্রিদে শুরুর একাদশে জায়গা পাকা করলেও ব্রাজিল দলে ওই নিশ্চয়তা তিনি পাননি। তবে সুযোগ পেলে সেরাটা খেলে গোল্ডেন বয় পুরস্কার জিতে নিতে পারেন।
জামাল মুসেইলা (জার্মানি): ইংল্যান্ডে খেলতে পারতেন জামাল মুসেইলা। বয়স ভিত্তিক দলে ইংল্যান্ডেই খেলেছেন। কিন্তু জাতীয় দল হিসেবে জার্মানিকে বেছে নিয়েছেন ১৯ বছরের এই তরুণ। জার্মানির সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকটাই তার ওপর নির্ভর করছে। চলতি মৌসুমে লিগে ১০ গোল করে ও আট গোলে সহায়তা দিয়ে জাত চিনিয়েছেন।
বুকোয়াকা সাকা (ইংল্যান্ড): ইংল্যান্ড দলে অভিজ্ঞ ফুটবলার আছেন। আবার বুকোয়াসা সাকা, ফিল ফোডেন ও জুডে বেলিংহ্যামের মতো তরুণরা আছেন। এর মধ্যে রাইট উইঙ্গ পজিশনে খেলে অভ্যস্ত সাকা হয়ে উঠতে পারেন নায়ক। ঘোচাতে পারেন গত বছর ইউরোয় পেনাল্টি মিসের আক্ষেপ।
এডওয়ার্ড কামাভিঙ্গা (ফ্রান্স): ফ্রান্সের শুরুর একাদশে কামাভিঙ্গার জায়গা নিশ্চিত নয়। কিন্তু সুযোগ পেলে প্রমাণ করতে পারেন নিজের যোগ্যতা। রিয়াল মাদ্রিদে এরই মধ্যে তিনি দেখিয়েছেন কী করতে পারেন। তার বয়স ২০ বছর।
জুডে বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড): ফরোয়ার্ড লাইনে হ্যারি কেন, ফোডেনের মতো খেলোয়াড় আছে ইংল্যান্ডের। তাদের মিডফিল্ডের ভার জুডে বেলিংহ্যামের ওপর। বয়স মাত্র ১৯ বছর। কিন্তু পরিণত তিনি। বড় বড় ক্লাব তার পেছনে পড়েছে। মিডফিল্ডে খেলে চলতি মৌসুমে ২২ ম্যাচে নয় গোল আর তিন সহায়তা তো সহজ কথা নয়।
এনজো ফার্নান্দেজ (আর্জেন্টিনা): রিভার প্লেটে ৪০ লিগ ম্যাচে ১০ গোল করে বেনফিকায় নাম লিখিয়েছেন এনজো ফার্নান্দেজ। সব মিলিয়ে বেনফিকায় ২৪ ম্যাচে তিন গোল করেছেন। কিন্তু এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের মাঠে প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। যে কারণে ২১ বছরেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন। নিয়মিত খেললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।