ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত সড়কে থেমে থেমে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এদিকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে এখনও চাপ দেখা যায় নি।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশো’ গাড়ি। ৮৫টি লঞ্চ, একশো’ ৫৫টি স্পিডবোট ও ১০টি ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছে হাজারো মানুষ।
এবারের ঈদযাত্রায় ফেরি ঘাটে প্রতিদিনই শত শত মোটরসাইকেলের চাপ দেখা যাচ্ছে। এজন্য এক নম্বর ফেরি ঘাট দিয়ে কেবল দ্বিচক্র যানই পার করা হচ্ছে।
মাদারীপুরে বাংলাবাজার প্রান্তে যাত্রীর চাপ বাড়লেও একাধিক ঘাট ও এক্সপ্রেসওয়ে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের। তবে যাত্রীদের চাপ বাড়ার সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে স্পিডবোটের চালকরা।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের ভিড় নেই বললেই চলে। তবে ছোট যানবাহনের চাপ রয়েছে। এই রুটে ২১টি ফেরি ও ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটে নাকাল হচ্ছে উত্তরবঙ্গগামীরা। মহাসড়কটির হাতিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে লাগছে তিন থেকে চার ঘণ্টা। তবে দুপুরের পর এখানকার পরিস্থিতি সহনীয় হয়ে এলেও বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের গোল চত্ত্বর থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত জট তৈরি হয়েছে।
গণপরিবহণ কম থাকায় ট্রাক ও পিকআপে চড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। সঙ্গে বাড়তি ভাড়া গুনার কষ্ট তো আছেই।
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরেও রয়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ।