‘কুত্তা কালাম’ বলে ডাকার কারণে কালাম নামের এক জন একে একে ছয়জনকে কামড়ে আহত করেছেন। এমন সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা নিয়ে সৃষ্টি হয় হাস্যরসের। ঘটনার আসল কারণ জানতে ডিবিসি নিউজের একটি দল সরোজমিনে পটুয়াখালীর দুমকিতে গেলে, বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। তবে কে যে কাকে কামড়িয়েছে, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি। শুধু একজন নয়, সবার অভিযোগ সবার বিরুদ্ধে। এলাকাবাসির ভাস্যমতে এটা অনেকটা পারস্পরিক কামড়া-কামড়ি।
কামড়া-কামড়ির এক পর্যায়ে মারাত্মকভাবে আহত ৩ জনকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬জন।
জানা যায়, মোঃ কালাম সর্দারের সাথে একই এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার শিকদার গংয়ের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো দীর্ঘদিনের। ঘটনার দিন আনোয়ার শিকদারের ছেলে কালাম সর্দারকে কুত্তা কালাম বলে ডাক দেওয়ায় কালাম সর্দার ক্ষিপ্ত হয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হন প্রতিপক্ষ আনোয়ার শিকদার ও তার পরিবারের সাথে।
কিছুক্ষণ পর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি ও মারামারি। ধস্তাধস্তির থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে এক পর্যায়ে একে অপরকে কামড়াতে শুরু করেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিবাদমান দুই পরিবারের কামড়াকামড়ি গড়িয়েছে থানা পুলিশ পর্যন্ত। এক পক্ষের অভিযোগ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে।
‘কুত্তা কালাম’ বলে ডাকার কারণে কালাম কামড়েছে ৬ জনকে, বিষয়টা এমন ভাবে প্রচারিত হলেও। আসলে পুরো ঘটনাটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংগঠিত পারস্পরিক কামড়াকামড়ি বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
এ ঘটনায় সত্তার শিকদার ৮ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় থানা পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান দুমকি থানার ওসি তদন্ত মো. মাহাবুব আলম।