মুজিববর্ষে শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার যে লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার তার কল্যাণে পটুয়াখালীর রাঙাবালী উপজেলার শতভাগ ঘর এখন আলোকিত হয়ে উঠেছে। পরিবর্তন আসছে উপজেলার মানুষের জীবনমানের।
পটুয়াখালীর রাঙাবালী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ কখনও ভাবেনি দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ আসবে। একে একে সতেরটি খুঁটি বসানো হয়েছে শুধু একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে।
যে অঞ্চলের মানুষ কখনও ভাবেননি বিদ্যুতের কথা সেখানে এমন চিত্র দেখা যাবে বেশ কিছু জায়গায়। দেশের উপকূলীয় অঞ্চল রাঙাবালী উপজেলার প্রতিটি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে তেতুলিয়া ও বুড়ো গৌরাঙ্গ নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন সংযোগের অংশ হিসেবে স্থাপিত হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। উপকৃত হয়েছে ২৫ হাজারেরও বেশি পরিবার।
পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অফিসার ইনচার্জ তৌফিক ওমর জানান, পুরো বিদ্যুতায়ন করতে ১৪ মাস সময় লেগেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হয়। প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘এটা সবচেয়ে বড় চ্যলেঞ্জিং ছিল ১৪ মাসে এখানে সাবমেরিন ক্যাবল দেয়া হয়েছে। ৫.৮ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল তিনটা স্থানে বসানো হয়েছে।’ সরকারের যুগান্তকারী এ পদক্ষেপের কারণে এ অঞ্চলে বেড়েছে জমির দাম, জীবনমানেও এসেছে পরিবর্তন। এখন পর্যন্ত ২৬০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে সংযুক্ত হয়েছে ৬টি ইউনিয়ের ১০৪ টি গ্রাম।
আর নয় প্রদীপ কিংবা সৌর বিদ্যুতের টিমটিমে আলো, এখন রাঙাবালীর ঘরগুলো ঝলমলে হয় বিদ্যুতের আলোয়।