উপযুক্ত বয়সী নাগরিকদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগকেই করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ টিকা দিয়েছে ভুটান। এই হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ভয়েস অব আমেরিকা। ভুটানের মোট জনসংখ্যা আট লাখ।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করার জন্য কমপক্ষে ২৪০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে দায়িত্ব দিয়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ইউনিসেফ বলেছে, ভুটানের রাজকীয় সরকার সব বয়সী মানুষের কাছে পৌঁছাতে বিস্তৃত প্রচেষ্টা নিয়েছে। কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে টিকা দেয়ার আয়োজন করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর পাশাপাশি প্রবীণ ও চলাচলে অক্ষম এমন ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন তারা টিকা দিতে।
যাযাবর সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে তারা অতি উঁচুতে উঠে গেছেন। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ নাগরিককে মার্চ ও এপ্রিল মাসে টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছে ভুটান।
দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের দান করা ৫ লাখ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে পায় ভুটান।
উল্লেখ্য, গরিব দেশগুলোতে টিকা বিতরণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে প্রচেষ্টা নিয়েছে অন্যদের সহায়তায়, তার নাম দেয়া হয়েছে কোভ্যাক্স। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ভুটানকে টিকা দিয়েছে চীন, ডেনমার্ক, ভারত, বুলগেরিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া। ছোট্ট এই দেশটি এখন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে শতকরা হিসাবে বিশ্বে সবার উপরে অবস্থান করছে।
ইউনিসেফ বলেছে, এই সফলতা সম্ভব হয়েছে প্রধানত দ্বিতীয় ডোজ টিকা এবং তা বিতরণে বিস্তৃত প্রস্তুতির জন্য। সারা দেশে এই টিকা সব রকমভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে যুক্ত করা হয়েছে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের। টিকার বিষয়ে আগেভাগেই প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে।