পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের অহংকার। সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি সজীব ওয়াজেদ জয়। বাংলাদেশের এমন একজন তরুণ আইকন, যিনি বদলে দিয়েছেন দেশের বেকার যুবকদের ভাগ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা এবং সেই স্বপ্ন পূরণের পথে দুর্বার গতিতে আমাদের ছুটে চলা যার হাত ধরে তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি একজন স্বপ্নচারী মানুষ। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেনই না, বাস্তবায়ন করেন। স্বপ্নাতুর এই মানুষটির জন্মদিনে শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন।
আজ মঙ্গলবার সকালে নড়িয়া ও সখিপুর থানা যুবলীগ আয়োজিত জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পিছিয়ে ছিল। এ খাতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তার প্রস্তাবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সে সময় বিরোধী পক্ষ ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে নানা কটাক্ষ, সমালোচনা করলেও আজ তথ্য ও প্রযুক্তিগত সুবিধা মানুষের হাতের মুঠোয়। দ্রুত ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে এগিয়ে থাকা দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রূপকল্প বাস্তবায়নে আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে পাশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণেই। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয়ের কর্মে আজকের বাংলাদেশ যেন সর্বত্র জয়ময়। মহাকাশে জয়, তথ্য ও প্রযুক্তিতে জয়। অনলাইনে ঘরে বসে বিল প্রদান থেকে শুরু করে বড় বড় টেন্ডার কিংবা সরকারি অনেক কর্মকাণ্ডও এখন ডিজিটালাইজ করা হয়েছে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী শামীম বলেন, বেকারত্ব ছিল বাংলাদেশের তরুণদের জন্য অভিশাপ। সেই অভিশপ্ত জনশক্তিই এখন বাংলাদেশের সম্পদ। এখন তরুণ প্রজন্ম চাইলে নিজেকে চাকরির বাজারে না নিয়েই ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে পারে। হতে পারে উদ্যোক্তা। এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হচ্ছে সুলভ মূল্যে বেশি গতির ইন্টারনেট। সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে এবং দিকনির্দেশনায় কমতে থাকে বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মূল্য। করোনাকালে অনেক তরুণ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে আয় করছেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল শামীম বলেন, করোনা মহামারি গৃহবন্দী করেছে বিশ্বের মানুষকে। এ সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক যোগাযোগের সব দরজা। কিন্তু আইসিটির জানালা রয়েছে খোলা। এ খোলা জানালা দিয়েই আমরা ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে সামাজিক, ব্যবসায়িক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিংসহ সব খাতে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। ঘরে বসেই জীবনযাপনের সব উপাদান সচল রেখেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অব্যাহত উন্নতির কল্যাণে। এটাই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এটাই দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারিশমা। আর এ আইসিটি সক্ষমতার রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর দক্ষ একদল সহকর্মী কোটি কোটি মানুষের জীবনে স্বস্তি এনে দিতে, জীবনকে সহজতর করতে শেখ হাসিনার হাতকে করছেন শক্তিশালী।
জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামীম বলেন, আপনারা নড়িয়াতে আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। আমি ঢাকায় আছি। আপনাদের সঙ্গে মিটিংয়ে যুক্ত হতে পেরেছি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণেই। তারুণ্যের অহংকার জাতির পিতার দৌহিত্রের ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে আমি ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক, নিঃশব্দে ঘটে যাওয়া আইসিটি বিপ্লবের স্থপতি, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সুযোগ্য, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্ম বীর, কোটি তরুণের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার পরিবারের সব সদস্যকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কামনা করছি দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য।
এসময় নড়িয়া ও সখিপুরে যুবলীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দিন, উজ্জল মালত, খালেক খালাসী, রাসেল আহমেদ পলাশ প্রমুখ।