জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ৯৯টি দেশে লাখ লাখ মানুষ সমন্বিতভাবে বিক্ষোভ করেছেন। করোনা মহামারির পর শুক্রবার প্রথম (২৪ সেপ্টেম্বর) জলবায়ু সংকট নিরসনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। যুক্তরাজ্যের গ্ল্যাসগোতে জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন কোপ-২৬ অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে বিশ্বব্যাপী এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো।
জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের বাকি মাত্র দুইদিন। এর মধ্যেই এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রেটা থুনবার্গ সেখানে এক লাখের বেশি মানুষের একটি জনসমাবেশে অংশ নিয়ে বলেন, জলবায়ু সংকট নিরসনে কোনো রাজনৈতিক দলই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেনি।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিশ্বের মোট এক হাজার ৮শ শহরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপ, আফ্রিকা এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
মেক্সিকো সিটিতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবিতে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানির সামনে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ১২টি শহরে তিনদিনব্যাপী বিক্ষোভ করেছেন পরিবেশবাদীরা।
জলবায়ু ইস্যুতে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে লন্ডনে পার্লামেন্টের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়াও বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে কানাডা, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনায়।