পরীক্ষায় নকলের উদ্দেশ্যে টাকার বিনিময়ে আগাম রচনা লেখা ও তা বিতরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। ‘এসে মিলস’ নামে পরিচিত এই ‘প্রতারণামূলক বাণিজ্যিক কৌশল’ নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। খবর বিবিসির।
টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে আগাম অথবা বিশেষ কায়দায় লেখা রচনা সরবরাহ করে কিছু প্রতিষ্ঠান। সেগুলো নিজের লেখা হিসেবে উপস্থাপন করে পরীক্ষায় প্রতারণা করে অনেক শিক্ষার্থী। ব্রিটিশ দক্ষতা মন্ত্রী অ্যালেক্স বার্গার্টের মতে, এ ধরনের কাজ ‘সম্পূর্ণ অনৈতিক’।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নজরদারি সংস্থা কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স এজেন্সি ফর হায়ার এডুকেশনের তথ্যমতে, দেশটিতে এক হাজারের বেশি ‘এসে মিলস’ চালু রয়েছে। সংস্থাটির গ্যারেথ ক্রসম্যান বলেছেন, এই অসাধু কার্যক্রম বন্ধের জন্য উচ্চশিক্ষা খাতকে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
২০১৮ সালের এক জরিপে দেখা যায়, সম্প্রতি স্নাতক পাস করা ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় নকল করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ইউনিভার্সিটিস ইউকে’র দাবি, দেশটিতে এসে মিলস ব্যবহারের ঘটনা খুবই বিরল।
এক মুখপাত্র বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় ক্রমেই অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে এবং কীভাবে প্রতারণা এড়ানো যায় তা বোঝাতে প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসে মিলস অবৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, নকল প্রতিরোধে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই কঠোর জরিমানাসহ সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি রয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, সেখানে আরও একাডেমিক সহযোগিতা থাকা দরকার, যেন তাদের কখনো মনেই না হয় যে, এসে মিলসের দিকে যাওয়া যেতে পারে।