বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই গোটা জাতির মুক্তি বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘গত তিন-সাড়ে তিন বছর থেকেই আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছি। এখন থেকে আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করবো না। এখন থেকে শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন করবো। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তির পূর্ব শর্ত হলো শেখ হাসিনার পতন। আমাদের নেত্রীর মুক্তি মানেই গোটা জাতির মুক্তি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো কিছুই তোয়াক্কা করে না। দেশের মানুষের অধিকার বঞ্চিত করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা এবং দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা, এ ধারাবাহিকতা থাকলে একটা সময় দেখা যাবে এ দেশটাই থাকবে না। সেজন্য আমাদের একটাই শর্ত শেখ হাসিনার পতন চাই, স্বৈরতন্ত্রের পতন চাই, গণতন্ত্রের মুক্তি চাই। গণতন্ত্রের মুক্তি মানেই খালেদা জিয়ার মুক্তি। কারণ, সারাবিশ্বের মানুষ বিশ্বাস করে বেগম খালেদা জিয়া মাদার অব ডেমোক্রেসি।’
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমরা সবাই একমত পোষণ করেছি মাঠের আন্দোলনের। এখন শুধু একটি ডাকের অপেক্ষা। অর্থাৎ গণতন্ত্র মুক্তি মাঠের আন্দোলনের জন্য যে কাউকে একটা ডাক দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সবারই একটা শেষ আছে। প্রশাসনের যারা দালালি করে তাদের একটা শেষ আছে। যারা দালালি করে তারা কখনো মর্যাদা পায় না। বর্তমানে প্রশাসনের অনেকেই ক্লান্ত যে দেশে কী হচ্ছে। এখন একটা আন্দোলন দরকার তাহলেই দেখবেন প্রশাসন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রশাসনে কিছু কিছু লোক তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এসব কারণে তারা ফাইট করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এখন একটা আন্দোলন করতে পারলে তারা ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মুক্তার আখন্দ প্রমুখ।