করোনাকালে যেকোনো শারীরিক সমস্যা হলে আজ না কাল করে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের সমস্যা ফেলে রাখলে ঘটতে পারে বিপত্তি। দাঁতে গর্ত দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে মুখে, ত্বকে। এমনকি হতে পারে প্রাণ সংশয়ও!
তের ক্ষয়ে গর্ত হয়ে গেলে প্রথমেই সচেতন হোন। না হলে তা বাড়তে বাড়তে ইনফেকশন দাঁতের মাড়ির ভেতরে চলে যেতে পারে। সেখান থেকে পুঁজ জমতে থাকে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘পেরিয়াপিক্যাল অ্যাবসেস’। তখন আরটিসি করা বা দাঁত তোলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
এই সংক্রমণ যদি মারাত্মক আকার নেয় তখন হাড় ভেদ করে মুখের ত্বকেও চলে যায়। আর এই অবস্থায় যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বা দুর্বল হয়, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইত্যাদি অসুখ রয়েছে বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খান সেক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলনামূলক অনেক বেশি।
এমন অবস্থায় সংক্রমণ মারাত্মক আকার নেয়। মুখ ফুলতে থাকে। ফোলা জায়গা লাল হয়ে যায় এবং অসম্ভব ব্যথা হতে থাকে। মুখে খুলতেও সমস্যা হয়। তখন ওরাল অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ হয় না। এই সমস্যাকেই বলা হয় স্পেস ইনফেকশন। এমন পরিস্থিতিতে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিতে হয়। মুখের সমস্যায় খেতে অসুবিধার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং তার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। তাই এই অবস্থাতেও ঠিকঠাক পুষ্টিকর খাবার খেতে বলা হয়। তারপর অতিরিক্ত পুঁজ বাইরে থেকে ড্রেন করতে লাগে।
এইভাবে চিকিৎসা করে তবে রোগীর দাঁতের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। লুডউইগ অ্যাঞ্জিনা হলো, সংক্রমণ অল্প থেকে বেশিমাত্রায় ছড়িয়ে গিয়ে তা দাঁত থেকে গলায় চলে যায়। ফলে শ্বাস নিয়েও কষ্ট হয় অনেকেরই। এই অসুখ প্রাণ সংশয়ও ডেকে আনতে পারে। কাজেই দাঁতের সমস্যা অল্প বলে তা ফেলে রাখবেন না। কখন মারাত্মক হয়ে যাবে কেউ-ই বলতে পারে না।