ইসরায়েলকে নিয়ে কি নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের অবৈধ বসতি নির্মাণ ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের সাম্প্রতিক বক্তব্যে এ প্রশ্নই উঠছে। ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। অবিলম্বে ইসরায়েলিদের ওই প্রকল্প বন্ধ করারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দখলদার ইসরায়েলের এ প্রকল্পে প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছিলেন। তার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের কাজ দেখতেও গিয়েছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। যদিও আন্তর্জাতিক আইনে তাদের দখলদারিত্ব পুরোপুরি অবৈধ। আন্তর্জাতিক আইনের চোখে ওই জমি শুধুই ফিলিস্তিনের। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে পশ্চিম তীরে নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়েই চলেছে ইসরায়েল। এখনই সেখানে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ ইহুদি বসবাস করেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলের নতুন সরকারের আবাসনমন্ত্রী জিব এলকিন বলেছেন, পশ্চিম তীরে ইহুদিদের উপস্থিতি বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাদের সরকার সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।
এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে পশ্চিম তীরে আরও ১ হাজার ৩৫৫টি বসতি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। স্বাভাবিকভাবেই এর তীব্র বিরোধিতা করছেন ফিলিস্তিনিরা।
তবে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র নেড প্রাইস পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এই কাজের বিরোধিতা করছে। এর ফলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের যে চেষ্টা চলছে, তা বিঘ্নিত হবে এবং ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত। ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনকে খুব একটা মুখ খুলতে দেখা যায়নি, বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সমর্থন পেয়েছে দখলদাররা। কিন্তু এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট শিবিরে ক্রমেই অসন্তোষ বাড়ছিল। সেই চাপ থেকেই বাইডেন প্রশাসন পশ্চিম তীর ইস্যুতে অবস্থান বদলাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে