নতুন বছরের প্রথম দিনে এবারও প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হবে। তবে মাধ্যমিক স্তরে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো উৎসবের আয়োজন নেই। স্কুলগুলো নিজেরা বই উৎসব করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানীর মিরপুরের ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথি ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
এর আগে গতকাল রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম অনুসরণে সব ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতভাগ আকর্ষণীয় নতুন পাঠ্যপুস্তক দিয়ে আসছে সরকার। শিশুদের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় করার জন্য ২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক হোয়াইট পেপার, কভার পৃষ্ঠা, হিট থার্মাল পারফেক্ট বাইন্ডিংসহ চার রঙের আকর্ষণীয় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। পরিমার্জিত কারিকুলামে বর্তমান বিশ্ব এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সারা দেশে একযোগে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে বই বিতরণ উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।
সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তকসহ চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাদরি এই পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করছে সরকার।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৯ জন, প্রাথমিক স্তরের এক কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৪ জন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৪ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। সর্বমোট দুই কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার ছয় জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নয় কোটি ৩৮ লাখ তিন হাজার ৬০৬টি বই বিতরণ করা হবে।