তারাকান্দা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে যেখানে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী ছিল, সেখানে ইজিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কগুলো চলাচলের উপযুক্ত করা হচ্ছে। সড়কের আশপাশে জঙ্গল কেটে রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম তালুকদার জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে (ইজিপিপি) দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টির বেশি চলমান প্রকল্পের উপকারভোগীর ১ হাজার ৬৬৯ জন। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ সড়কের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি জিটুপি পদ্ধতিতে (সরকার টু পারসন) নগদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে পরিশোধ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ চলমান। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নগদ টাকা লেনদেন বা কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমান সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে বহু পরিবারে দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। উপকারভোগী শ্রমিকরা জানান, তারাকান্দা সদর ইউনিয়নের আনোয়ারা বেগম, ঢাকুয়া ইউনিয়নের নিরেল চাম্বুল ও কামারগাঁও ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান প্রথম পর্যায়ে (ইজিপিপি) ৪০ দিনের মজুরির টাকা নগদের মাধ্যমে পেয়েছেন। এ ব্যাপারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ জানান, অতিদরিদ্র পরিবারের অক্ষম লোকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্প একটি যুগান্তকারী কর্মসূচি। এ কর্মসূচি চালু হওয়ায় এলাকার শত শত বেকার পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারসহ ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কমিটি রয়েছে। সরকারি একজন কর্মকর্তা ইউনিয়নভিত্তিক ট্যাগ অফিসার হিসেবে তদারকি করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া সরকার বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।