ভাগ্য ফেরানোর আশায় কুমিল্লার মাহবুবুল আলম মানিক প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন শূন্য হাতে। সেই মানিকই আজ ৭০০ বাঙালীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন বিদেশের মাটিতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাহবুবুল আলম মানিকের প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশিদের হাতে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সুগন্ধি। বাঙালি এই উদ্যোক্তার রয়েছে বিভিন্ন ধরণের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
১৯৯২ সালে নিজের ভাগ্য ফেরাতে সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছিলেন কুমিল্লার কালির বাজার ইউনিয়নের ধনুয়াখলা গ্রামের মাহবুব আলম মানিক। হাতে তেমন অর্থকড়ি না থাকলেও লক্ষ্যে ছিলেন অটুট। সেসময় অনেক চেষ্টায় ছোট্ট একটি দোকান শুরু করেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। ধীরে ধীরে সাফল্যও ধরা দেয়া শুরু করে।
২০০০ সালের পরে ব্যবসা বড় করার উদ্দেশ্যে তিনি পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। ইলেকট্রনিক্স, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসার পাশাপাশি শুরু করেন সুগন্ধী তৈরির কাজ। সারজায় প্রতিষ্ঠা করেন মাহুবব পারফিউমসের কারখানা।
৪০ হাজার বর্গফুটের এই সুগন্ধী কারখানাটিতেই কাজ করে কয়েকশো বাংলাদেশি। জার্মানী ও স্পেনের কাঁচামাল এবং চীনের তৈরি বোতলে ধাপে ধাপে তৈরি হয় ত্রিশটির বেশি ব্রান্ডের সুগন্ধি।
মাহবুব পারফিউমসের এসব সুগন্ধী মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ছাপিয়ে এখন সুবাস ছড়াচ্ছে বিশ্ববাজারে। সুযোগ সুবিধা পেলে দেশের মাটিতেও কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে এই উদ্যোক্তার।
প্রবাসী উদ্যোক্তা মাহাবুব আলম মানিক বলেন, ‘বাংলাদেশিদের নিয়ে আমার স্বপ্ন ছিল যে, আমি একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। ফুল থেকে যে সুগন্ধটা আমরা ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারর্যান্ড থেকে কিনি, সেটা কিন্তু বাংলাদেশ যে অঞ্চলে ফুলের চাষ হয় সেখান থেকে তৈরি করে বিক্রি করা যায়। কারণ, বাংলাদেশের এ আবহাওয়াটা সেটার জন্য অনুকূলীয়।‘
প্রবাসী উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য পরপর কয়েক বছর তাকে সিআইপি মর্যাদা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।