বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো গ্রিসও করোনার থাবায় বিপর্যস্ত। গত বছর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছে ১২ হাজার ৮শ ৭০ জন। আক্রান্ত ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪১ ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহ দেখা যায়নি।
এ অবস্থায় গ্রিসের কম বয়সী নাগরিকদের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দানে উৎসাহিত করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের কেউ করোনার ভ্যাকসিন নিলেই পাবেন ‘ফ্রিডম পাস’ নামক ১৫০ ইউরোর একটি ভাউচার।
অর্থাৎ যাদের জন্ম ০১/০১/১৯৯৬ থেকে ২০০৩ এর মধ্যে, তারাই এ ফ্রিডম পাসের আবেদন করতে পারবে। যাদের ‘ট্যাকসিস নেট কোড’ বা ‘ক্লিদারিথমস’ নেই তারা সরাসরি কেপ (ΚΕΠ) এ গিয়ে ফ্রিডম পাসের আবেদন করতে পারবে। তবে আবেদনের পূর্বে কমপক্ষে একটি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এমন প্রমাণ দেখাতে হবে।
এই আবেদনের জন্য ‘‘freedompass.gov.gr’’ প্লাটফর্মটি মঙ্গলবার (২০ জুলাই) থেকে চালু হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করার জন্যই গ্রিসে সরকারি এ ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার তরুণ আবেদন করেছেন। ফলে বাংলাদেশি তরুণরাও উৎসাহিত হয়ে এখন ভ্যাকসিন নিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সহ-সভাপতি শাহনূর রিপন বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়ে তরুণদের মাঝে যে অনীহা রয়েছে, তা দূর করতে ইতোমধ্যেই ‘ফ্রিডম পাস’ নামক ১৫০ ইউরোর একটি ভাউচার প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে গ্রিস সরকার।
তিনি বলেন, এ উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে বাংলাদেশি তরুণরাও আনন্দের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিচ্ছে। আপনারা আপনাদের বন্ধু, প্রতিবেশী ও সহকর্মীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে আগ্রহী করুন।