গাজর ও টমেটোর সঙ্গে রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এর সঙ্গে ঈদের পর কিছুটা বেড়েছে কাঁচা মরিচের দামও। ঈদের পর কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত।
গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে। আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।
ঈদের আগের দিন কিছু সবজির দাম কমলেও ঈদের পর আবার আগের দামে ফিরে গেছে। বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আগের মতো ঢেড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, তা ঈদের আগে ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা।
ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া আদা এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের কেজি আগের মতো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল।
অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং রূপচাঁদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।