মঙ্গলবার , ১০ আগস্ট ২০২১ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

ইংরেজি বলতে না পারায় পেলেন ১০ লাখ টাকা!

প্রতিবেদক
Probashbd News
আগস্ট ১০, ২০২১ ১২:০৭ অপরাহ্ণ
ইংরেজি বলতে না পারায় পেলেন ১০ লাখ টাকা!

Spread the love

লাটভিয়ার নাগরিক আলবিনা সোকোলোভা এক দশক আগে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পরপরই ২০১০ সালে হামডিংগার লিমিটেডের হাল (বহিরাবরণ মোচন) কারখানায় চাকরি পান। সেখানে প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করেন তিনি।

কিন্তু কাজ শুরুর ৫ বছর পর ২০১৫ সালে ওই কোম্পানি কর্মক্ষেত্রে ইংরেজি বলা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করে। এমনকি মধ্যাহ্নভোজনসহ অন্য সময়ও ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলা যাবে না বলে নিয়ম জারি করে।

কিন্তু সোকোলোভা ইংরেজিতে কথা বলতে পারতেন না। তাই নিজের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলবেন বলে গো ধরে বসে থাকেন। এমনকি কোম্পানির বসের সঙ্গে মিটিংয়েও অনুবাদক নিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। আর তা নিয়ে কোম্পানির সঙ্গে সোকোলোভার দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

সে দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত অব্দি। আদালতে কোম্পানির বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ আনেন সোকোলোভা। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ হাজার ৮০০ ইউরো ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তিনি। পরোক্ষভাবে বলা যায়, ইংরেজি বলতে না পেরেও বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লাখ টাকা জিতে নিলেন তিনি।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোকোলোভাকে নিজের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার জন্য একঘরে করা হয়। অথচ তার সহকর্মী যারা পূর্ব ইউরোপিয়ান তাদের সোকোলোভার ভাষা নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। এমনকি তার তত্ত্বাবধায়কও তার ভাষা নিয়ে কোনোরকম অভিযোগ করেননি।

লাটভিয়ান সোকোলোভাকে রাশিয়ান বলেও বিবেচনা করা হয়। তিনি রাশিয়ান ভাষাকেই মাতৃভাষা বলে দাবি করেন। বাড়িতে ইংরেজিতে অনুবাদের কাজ চালানোর জন্য তিনি তার মেয়ের উপর নির্ভর করেছিলেন। কিন্তু বসের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাইরের কোনো অনুবাদককে ভরসা করতে চাননি তিনি।

আর এ নিয়ে কোম্পানির সঙ্গে চরম দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন সোকোলোভা। বিষয়টি নিয়ে কর্মসংস্থান ট্রাইব্যুনালে বর্ণবাদের মামলা ঠুকে দেন তিনি। সে মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন সভায় আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে না পেরে তিনি ‘সুবিধাবঞ্চিত’ ছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য সেখানে ইংরেজিতে কথা বলা খুব বেশি প্রয়োজনীয় ছিল না।

ট্রাইব্যুনালকে সোকোলোভা আরও বলেন, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানির কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাকে কোম্পানির নিয়ম-নীতি ভঙ্গের জন্য দায়ী করে শোকজ করা হয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে ‘লেটার অব কনসার্ন বা উদ্বেগের চিঠি’ জারি করে সেই চিঠিতে তাকে ইংরেজিতে ‘উন্নতি’ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল হামডিংগার লিমিটেডকে পরোক্ষ জাতি বৈষম্য এবং জাতিগত অনুভূতিকে আঘাতের অভিযোগে মিসেস সোকোলোভাকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার রায় দেয়। সূত্র : ডেইলি মেইল

সর্বশেষ - প্রবাস