উজানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১১টি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভয়াবহ সংকটে এখনো পানিবন্দি এসব দুর্গত এলাকার মানুষ। তবে সাধারণত আকস্মিক বন্যার পানি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে নেমে যায়। দেশের সিলেট বিভাগ ও তিস্তা অববাহিকায় প্রতিবছরই একাধিকবার আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। তবে, তা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। ফেনী ও লক্ষ্মীপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলা আকস্মিক বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে এক সপ্তাহের বেশি সময় হলো। পানি কমছে, তবে তা ধীরগতিতে। বিপুলসংখ্যক মানুষ এখনো পানিবন্দী। এদিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগ কমেনি সাধারণ মানুষের।
লক্ষ্মীপুরে এখনও জলমগ্ন ৫ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ধীরগতিতে নামছে বানের জল। স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ক্ষতচিহ্ন। প্রকট হয়ে উঠেছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। চরম ভোগান্তিতে দিন কাটছে ১০ লাখ বানভাসীর। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও- তা অপ্রতুল বলছেন দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকায় ছড়াচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগবালাই।
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি। এখনও ডুবে আছে সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার অনেক এলাকা। পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। অনেকের দিন কাটছে আশ্রয়কেন্দ্রে। পানি কমে আসায় ত্রাণ বিতরণে গতি ফিরলেও রয়েছে খাদ্য সংকট। যেসব এলাকা থেকে বানের জল নেমেছে, সেখানকার বাসিন্দারা ঘর মেরামতে ব্যস্ত। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যায় এ জেলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।