তীব্র শ্রমিক সংকট মেটাতে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা ব্যাপক সম্প্রসারিত এক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার আওতায় দেশটির ওপেন ওয়ার্ক পারমিটধারীদের (ওডব্লিউপি) পরিবারের সদস্যদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কানাডা সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগামী ২০২৩ সাল থেকে কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের লাখ লাখ পেশাজীবী দেশটিতে কাজের সুযোগ পাবেন।
ওপেন ওয়ার্ক পারমিটের (ওডব্লিউপি) মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকরা কানাডায় নিয়োগকর্তার অধীনে যেকোনও ধরনের কাজের অনুমতি পান।
শুক্রবার কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রী শন ফ্রেজার ঘোষণা দিয়েছেন, তার দপ্তর অস্থায়ী বিদেশী কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট সম্প্রসারণ করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেছেন, পরিবারের সদস্যদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের সম্প্রসারণ করছে কানাডা। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি। এর মাধ্যমে একজন প্রধান আবেদনকারীর স্ত্রী এবং সন্তানরা কানাডায় কাজ করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কানাডার এই মন্ত্রী বলেছেন, কানাডায় মূল আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের কাজের পারমিটের যোগ্যতা সম্প্রসারণ করা হলে তা নিয়োগকর্তাদের প্রয়োজনীয় কর্মী খুঁজে পেতে ও শ্রমিক সংকট মেটাতে সহায়তা করবে।
ফ্রেজার বলেন, সারাদেশে নিয়োগকর্তারা শ্রমিক সংকটকে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। নিয়োগকর্তাদের ঘাটতি পূরণে ও প্রয়োজনীয় কর্মী খুঁজে পেতে সাহায্য করবে নতুন এই পদক্ষেপ। পরিবারের সদস্যদের দক্ষতার সব স্তরে কাজের পারমিট সম্প্রসারণ করা হবে। এর ফলে ২ লাখেরও বেশি বিদেশি শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাবেন।
দেশটির সরকারের এই ঘোষণার আগে মূল আবেদনকারী যদি কানাডায় উচ্চ-দক্ষতাসম্পন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকতেন, তাহলেই কেবল স্বামী/স্ত্রী ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্য বিবেচিত হতেন।
কানাডায় কর্মরত পরিবারগুলোকে একত্রিত করে কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই নতুন এই পদক্ষেপের লক্ষ্য। এর ফলে কর্মীরা তাদের সামগ্রিক কাজের পরিবেশ এবং পরিবারের সাথে আরও ভালোভাবে সুসংহত হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন ফ্রেজার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু করে অস্থায়ী-ভিত্তিতে দুই বছরের পদক্ষেপের মাধ্যমে কানাডায় কর্মীদের জন্য পর্যায়ক্রমে স্বামী/স্ত্রী এবং শ্রমজীবীদের শিশুদের কাজ করার যোগ্যতার সম্প্রসারণ করা হবে।
সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।