প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি মিলো জুকানোভিচ। মন্টেনিগ্রোতে নিযুক্ত বাংলাদশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান ৯ ডসিম্বের মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রপতির বাসভবনে তার পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ১০ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে রোম বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
পরিচয়পত্র অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান এক আলোচনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান এবং মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি তার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভচ্ছো জানান।
আলোচনা সভায় উভয়ে বাংলাদেশ এবং সাবেক যুগোস্লাভিয়ার মধ্যে ঐতিহাসকি দৃঢ়বন্ধনের কথা স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য, বিশেষত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য উৎপাদন ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের ‘রোল মডেল’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। আলাপকালে তারা উভয়েই বস্ত্র খাত, বাণিজ্য, পর্যটন এবং দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগের মতো বিষয়গুলোতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ব্যাপারে দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী জোরর্পূবক বাস্তুচ্যুত এগারো লাখ মিয়ানমার নাগরিকের স্বেচ্ছায় নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মন্টেনিগ্রোর সহায়তা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি জুকানোভিচ রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক পদক্ষেপের গভীর প্রশংসা করেন এবং দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তার সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং তার দায়িত্ব পালনকালে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আগে একটি সুসজ্জতি সশস্ত্র বাহিনী রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এছাড়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী মিসেস পেন্ডোরা চৌধুরী এবং রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।