মাদক মামলায় তার সাজা হয়েছিল দুই বছরের। এরপর থেকে তিনি পলাতক হন। ধরেন হিজড়ার বেশ। আত্মগোপনে থাকেন ৭ বছর। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে ধরা পড়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার এই আসামির নাম মো. বিল্লাল হোসেন (৩২)। বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের শোনাতলা গ্রামে। বাবার নাম আ. মান্নান। পালানোর আগে তিনি রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকায় থাকতেন।
এই শাহআলী থানাতেই তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা হয়েছিল। শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মো. বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শাহআলী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। এরপর মামলা থেকে জামিনে বের হন তিনি। পরে মামলার দায় হতে বাঁচার জন্য শাহআলী থানা এলাকা ছেড়ে চলে যান। গত সাত বছর ধরে হিজড়া সেজে অজ্ঞাত স্থানে থাকেন তিনি।
ওসি জানান, ওই মামলায় আসামি বিল্লালের দুই বছর সাজা হয়, যা গত তিন বছর যাবৎ শাহআলী থানায় মুলতবি ছিল। অতঃপর গোপন সংবাদের মাধ্যমে আসামির বর্তমান ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক সুনির্দিষ্ট অবস্থান নির্নয় করি আমরা। গতকাল শনিবার বাড্ডা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।
‘গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, তিনি প্রকৃতপক্ষে হিজড়া নন। মামলায় আটক হওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্ত হয়ে পুলিশের গ্রেফতার এড়ানোর জন্য হিজড়ার ছদ্মবেশ ধারণ করেন’,- বলেন ওসি মো. আমিনুল ইসলাম।