সিরাজগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে হামলায় দায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি— আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।
রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এ ঘটনায় ছয়টি মামলা করা হয়েছে। অথচ প্রকৃত আসামিরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ ওই জনসমাবেশকে ভণ্ডুল করতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুই-তিন দিন আগে থেকে হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপির বাড়ির ছাদে ও বাড়ির নিচে, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের মাঠে ও অডিটরিয়ামের ছাদে, রেলগেটে, গো-শালায়, আলিয়া মাদ্রাসার ছাদে এবং তৎসংলগ্ন মাঠে, বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, পাথর, ককটেল, পেট্রল বোমা ও দেশীয় অস্ত্র মজুদ করে।’
তিনি বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে একডালা মধ্যপাড়ার বায়েজিদ, দত্তবাড়ির সুজয়, কোল গয়লার সুমন ও জনি চারটি পিস্তলসহ প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালায়।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ৩১ ডিসেম্বর বিকালে পুলিশ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে চারটি মিথ্যা মামলা করে এবং বিকালেই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ডিবি পুলিশ তল্লাশিসহ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।’
এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।