ঈদ সামনে রেখে নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছরের মত এবারও দ্বীপ জেলা ভোলায় আসছেন কয়েক লক্ষ লোক। গতকাল বৃহস্পতিবার অফিস আদালতের ছুটি শুরু হওয়ায় ঘরমুখী মানুষের চাপ বাড়ছে।
এদিকে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ভোলায় ফিরতে হলে লঞ্চ কিংবা সিট্রাকই হচ্ছে নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা।
বিআইডব্লিউটিএর ভোলায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, ঈদে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে ঢাকা-ভোলা নৌরুটে ১৫ টি লঞ্চ চলাচল করছে। পাশাপাশি ভোলা- লক্ষ্মীপুর নৌ রুটে ৩টি সিট্রাক এবং ৩টি লঞ্চ চলছে। বর্ষায় ডেঞ্জার জোন (বিপজ্জনক এলাকা) হিসেবে মেঘনা নদীতে ছোট লঞ্চ কিংবা ট্রলারে যাত্রী পারাপার নিষেধ। কোন ট্রলার যাতে যাত্রী পারাপার করতে না পারে তা কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে।
কিন্তু অধিকাংশ যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ট্রলারে করে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসতে দেখা যাচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ সিট্রাক এবং লঞ্চগুলো টাইম শিডিউল না মানায় তারা দ্রুত বাড়ি ফিরতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। বাধ্য হয়ে ট্রলারে চড়ছেন।
স্থানীয়দের আশঙ্কা ট্রলারে পারাপার করতে গিয়ে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।