খুলনায় পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিক বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে তরল জ্বালানি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন। প্রকল্পে আওতায় প্লান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ টন বর্জ্য দিয়ে গড়ে ৫০০ লিটার তরল জ্বালানি উৎপাদন করা হবে। একই সঙ্গে অন্যান্য বর্জ্যরে দূষিত পানি পরিশোধন করে সার উৎপাদনে কাজে লাগানো হবে। বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট প্লান্টে এখানে প্রতিদিন ২০ টন সার তৈরি করা যাবে।
পরিবেশ অধিদফতরের ‘থ্রি-আর (রিডিউস রিইউজ ও রিসাইকেল) পাইলট উদ্যোগ বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় খুলনার রূপসার মাথাভাঙ্গা এলাকায় সোয়া ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। গতকাল খুলনায় কম্পোস্ট প্লান্ট ও প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তরল জ্বালানি উৎপাদন প্লান্ট নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন। সিটি মেয়র বলেন, প্রকল্পে প্লান্টের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণকারী বর্জ্য কাজে লাগানো যাবে। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সার ও জ্বালানি উৎপাদন করা যাবে।
উপপ্রকল্প পরিচালক ও কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীর ২২, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ টন বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। প্লান্টে আনার পর তা থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য ও অন্যান্য বর্জ্য আলাদা করা হবে। এরপর পাইরোলাইসিস মেশিনের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তরল জ্বালানি ও কম্পোস্ট প্লান্টে সার তৈরি করা হবে। বর্তমানে কয়েকটি ধাপে কম্পোস্ট প্লান্টে অবকাঠামো কাজ শুরু হয়েছে। প্লান্টের গ্রাউন্ডে ঢালাই ও ভবনের ভিম তৈরির কাজ চলছে। প্লান্টে নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ ২০২৩ সালে জানুয়ারিতে শেষ হবে। তারপরই তরল জ্বালানি ও সারের উৎপাদন শুরু হবে। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।