বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা না থাকায় দেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যয় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেড়ে যায়। ২০১৫ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য রক্ষা ব্যয়ের শতকরা ৬৭ ভাগ নিজেকেই বহন করতে হয়, যা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই আর্থিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বীমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্বাস্থ্য বীমা সম্পর্কে সচেতনতা প্রত্যেক মানুষের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি আর্থিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে স্বাস্থ্য বীমার নজির আছে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। অন্য দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বীমার ধারণা পুরো বেসরকারি খাত ভিত্তিক। তবে তাইওয়ান, ইরান, থাইল্যান্ডসহ এশীয় অঞ্চলের বেশ কিছু দেশে আছে শতভাগ সরকারি স্বাস্থ্য বীমা। পাশের দেশ ভারতে আবার বেসরকারি বীমা পরিচালনার সফলতা চোখে পড়ার মতো।
চিকিৎসকদের বীমার আওতায় আনলে সুবিধা পাবে সাধারণ জনগণ। বাংলাদেশে ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যুর হার অনেক, অনেকের আবার অঙ্গহানীও ঘটে। এসব ক্ষেত্রে রোগী যাতে ক্ষতিপূরণ পায়
সেজন্য চিকিৎসকদেরকেও স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা জরুরি।