পঞ্চগড়: ইতি রানীর (২০) সঙ্গে রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনির (২৫) প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রেম চলাকালীন এক পর্যায়ে তারা গোপনে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন।
বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনেই।
এর কিছুদিন পর নতুন করে মমতা রানী (১৮) নামে আরেক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রনির। প্রেমের সূত্রে মমতার সঙ্গে রাতে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান রনি। এরপর গত ১৩ এপ্রিল মমতা ও রনির বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে আগের স্ত্রী ইতি রনির বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এরপর তিন পরিবারের উপস্থিতিতে ঘটা করে পারিবারিকভাবে এক বরের সঙ্গে দুই প্রেমিকার বিয়ে দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার এলাকায় রনির বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বিয়ে একসঙ্গে সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, রনি ওই এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে। প্রথম স্ত্রী ইতি একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা লক্ষীদ্বার গ্রামের টোনোকিসর রায়ের মেয়ে। এ ঘটনায় তিন পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ না থাকলেও এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুইজনকে একসঙ্গে ঘরে তুলতে আমাদের আপত্তি ছিল না। তবে আগের বিয়ের বিষয়ে যেহেতু জানা ছিল না, তাই নতুন করে আমি আবার বিয়ের আয়োজন করেছি।
ইতি রানীর বাবা গিরিশ চন্দ্র বলেন, আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। রোহিনীর বাড়িতে আনুষ্ঠানিক বিয়েতে আমরা তিন পরিবারের লোকজনই ছিলাম।
এ বিষয়ে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি।