মারিওপোল থেকে আটক করা আরও এক ব্রিটিশ সেনাকে দেখানো হয়েছে রাশিয়ার টেলিভিশনে। ওই সেনা সদস্যের নাম শন পিনার। তিনি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হয়ে লড়ছিলেন।
এর আগে এইডেন এসলিন নামে এক ব্রিটিশ সেনাকে আটকের কথা জানানো হয়েছিল রাশিয়ার টেলিভিশনে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।
ভিডিওতে ৪৮ বছর বয়সি ওই সেনাকে বলতে শোনা যায়, হাই, আমি শন পিনার। আমি যুক্তরাজ্যের নাগরিক, মারিওপোলে আটক হয়েছি। আমি ৩৬ ব্রিগেড প্রথম ব্যাটালিয়ন ইউক্রেনীয় মেরিনের সদস্য ছিলাম।
ধারণা করা হয়, পিনার চার বছর আগে ইউক্রেনে আসেন এবং স্ত্রীর সঙ্গে দোনবাস অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন।
জানুয়ারিতে তিনি দ্য মেইলকে বলেন, তিনি তার পরিবার ও শহরকে রক্ষায় লড়াই করছিলেন।
তিনি আরও জানান, তিনি তার প্রাণ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। যদি ‘রাশিয়ানরা কোনোমতে তাকে ধরতে পারে তবে তার সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করা হবে, কেননা তিনি ব্রিটিশ।
এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন এইডেন এসলিন। তারপর রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক ভিডিওতে মারিওপোল বিপর্যয়ের কারণ জানাতে দেখা গেছে তাকে।
বন্দি ব্রিটিশ সেনা এসলিন বলেন, আমি ২০১৮ সালে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিই। সে সময় মনে হয়েছিল আমি ভালোর পক্ষে আছি। কিন্তু মারিওপোলের পরিস্থিতি চোখ খুলে দিয়েছে। মারিওপোলের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এ রকম পরিস্থিতি এড়ানো যেত, যদি ইউক্রেনের বাহিনী মারিওপোল ছেড়ে চলে যেত। কিন্তু তাদের মারিওপোলেই থাকতে হয়েছে। আর এমন সিদ্ধান্তের পেছনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বড় ভূমিকা ছিল। জেলেনস্কি ইউক্রেনের বাহিনীকে মারিওপোল ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া এ দোনবাস অঞ্চলের রক্ষায় ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এর পর থেকে কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন এলকায় লাগাতার হামলা চালিয়ে এখন পূর্বাঞ্চলকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে মস্কো।