বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ষষ্ঠ শ্রেণির প্রথম ক্লাশে শ্রেণি শিক্ষক আনিস উদ্দিন কয়েকজন ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেন। এতে আহত ছাত্র সুলতান মাহমুদ নুরের পিতা আক্তার হোসেন বিদ্যালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে বিকেলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক আনিস উদ্দিনকে সাময়িক বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই সাথে ঘটনাতদন্তে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আনিস উদ্দিন জানান, তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজী নবম ও দশম শ্রেণির ইতিহাস পড়ান। আজ ষষ্ঠ শ্রেনির প্রথম ক্লাশে চারজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করা হয়।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন অনেক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের চুল ছোট করার জন্য বলা হয়েছিল। যারা বড় চুল রেখেছিলো তারা কেটে ছোট করেছে। কিন্তু চার শিক্ষার্থী তাদের চুল ছোট করেনি। এই কারণে তাদের বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
কাজটি ঠিক হয়নি বলে তিনি (ওই শিক্ষক) পরে আহত ছাত্র সুলতান মাহমুদ নুরের পিতা আক্তার হোসেনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।