‘ম্যানিংহামের হৃদয়’ বলে খ্যাত আলহাজ্ব আবুবকর মোহাম্মদ সালেহ গত ২৩ মার্চ লন্ডনে ৮৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি….. রাজিউন)। তার মরদেহ লন্ডনে সমাহিত করা হয়েছে। তিনি শেরপুরের যুগনিমোড়ার পীরেকামেল মরহুম আলহাজ্ব ফসিউদ্দিন পীরসাহেব বড় ছেলে।
সালেহ ১৯৩৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর নিজ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে বিদেশে পাড়ি জমান। সালেহ তার জীবনের অর্ধ সময়ের বেশি সময় একজন কমিউনিটিকর্মী হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সর্বশেষ বিইএপি কমিউনিটি পার্টনারশিপের সেন্টার ম্যানেজারের হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তার মৃত্যুতে কমিনিউটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। ব্র্যাডফোর্ডের লর্ড মেয়র শাবির হুসেন তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক বার্তায় বলেন বলেছেন-‘জনাব সালেহ সকল সম্প্রদায়ের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি সবাইকে পছন্দ করতেন, আপনি পাকিস্তান, ভারত বা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তাতে কিছু যায় আসে না। সকলের কাছেই তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।’
সালেহের দীর্ঘ এবং বৈচিত্র্যময় কর্মজীবন সম্পর্কে বিইএপি-এর প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন ইসলাম বলেন, জনাব সালেহের মৃত্যু সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি। তিনি সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক লোককে সাহায্য করেছেন এবং প্রতিষ্ঠা করেছেন, ব্র্যাডফোর্ড সম্প্রদায় সাম্প্রতিককালে, তবে লিসেস্টার এবং লিডসেও। তিনি তার জীবন মানুষের সেবায় উৎসর্গ করেছেন।
সংগঠনের নেতা জাফরুল কবির গাজী বলেন, সালেহ তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় সমাজসেবায় নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে উৎসর্গ করেছেন। তিনি প্রচারণা চালান এবং মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে এমন পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলেন। তার তুলনা তিনি নিজেই।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সেলিমা, তিন সন্তান এবং ছয় নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার বড় মেয়ে একজন শিক্ষক, একমাত্র ছেলে ফার্মাকোলজি বিভাগে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনে একাডেমিক কর্মরত এবং ছোট মেয়ে নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী একজন ফিজিওথেরাপিস্ট।
গত ২৫ মার্চ তার গ্রামের বাড়িতে গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।