প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু করেছিলেন জিয়াউর রহমান, আর তা অব্যাহত রেখেছিলেন খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১শে মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ১২তলা ভবন ‘বিজয় ৭১’-এর উদ্বোধন করে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এই ভবনে ৩২টি বিচারিক কক্ষ আছে, ফলে আরও বেশি বিচারক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খন্দকার মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতায় বসে। তারই ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসে। একইভাবে এরশাদও সংবিধানকে পদদলিত করে ক্ষমতায় এসে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করে। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের ব্যবস্থা করি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় সে জন্য আমরা কাজ করছি। দেশ সঠিকভাবে এগিয়ে যাক, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক। বিচার বিভাগকে স্বাধীন এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নতুন এই ভবন নির্মাণের ফলে আরও বিচারক নিয়োগ দেওয়া যাবে। সুপ্রিম কোর্টের রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য ভবন নির্মাণে অর্থ সচিবকে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হবে। যেখানে মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতার জন্য দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি বিচারকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থ করা হয়েছে।’
এ সময় সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে বিচার ব্যবস্থা চালু রাখায় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বিচার বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির পদক্ষেপ আমরা নেব। এ বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ নিতে হবে। কারিকুলাম কি হবে, সেটি ঠিক করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।