দুম্বা মরু এলাকার প্রাণী হলেও এখন এটি পালিত হচ্ছে বাংলাদেশেই। আর এই দুম্বা পালন করে শীঘ্রই কোটিপতির ঘরে নাম লেখাতে চলেছেন পাবনার ইশ্বরদীর যুবক সোহেল হাওলাদার।
বড় সাইজের দুম্বা দেড় থেকে দুই লাখ টাকা, তিন মাস বয়সী এক লাখ টাকা এবং ছয় মাস বয়সী দুম্বা বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ২০ হাজার টাকায়। তোতাপুরি ও হরিয়ানা জাতের বাচ্চা ৩০-৩৫ হাজার টাকা এবং বড় ৬০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। পাকিস্তানি বিটলের বাচ্চা ৫০ হাজার আর বড় এক লাখ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার কাচারিপাড়ার ইব্রাহিম হাওলাদারের বড় ছেলে এই সোহেল হাওয়ালাদার। দুম্বা ও অন্য ধরণের বেশ কিছু প্রাণী লালন-পালন করে, প্রতি বছর খরচ বাদে আয় করছেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা। দুম্বার পাশাপাশি তার খামারে রয়েছে মূল্যবান তোতাপুরি, হরিয়ানা, পাকিস্তানি বিটল ও দেশীয় মোট ৮০টি ছাগল প্রজাতির প্রাণি । কিন্তু কীভাবে তিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন তিনি?
বর্তমানে সোহেল নিজে এবং কয়েকজন কর্মচারী খামার দেখাশোনা করার কাজে নিয়োজিত। এই খামার থেকে বাংলাদেশের সব খানেই তিনি সরবরাহ করছেন দুম্বা। সব খরচ বাদ দিয়ে তার বাৎসরিক আয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। বিশেষ করে কোরবানির সিজনে বেশ লাভ হয়।
সোহেলের দেখাদেখি দেশজুড়ে অনেকেই শুরু করেছেন দুম্বা পালন। মরুভূমির দুম্বা বাংলাদেশের ঘাষ খেয়ে অল্পদিনেই মোটা তাজা হওয়ায়, এদেশে দুম্বা চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা ক্রমশ: দিন দি;ন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাইট: উপজেলা/জেলা পশু পালন কর্মকর্তা। তিনি বলবেন আমাদের দেশে দুম্বা চাষের সম্ভাবনা কতখানি?