রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা) এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে, যাতে কিইভ, খারকিভ, মারিওপোল ও সুমাই শহর থেকে বেসামরিক লোকজন নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ পায়।
এই শহরগুলোতে গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে আসছে আগ্রাসী রুশ বাহিনী। সেখানে মানবিক সহায়তার কোরিডোর খোলার বিষয়ে ইউক্রেইনের তরফ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স লিখেছে, বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে থাকা এই শহরগুলোর পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত অনুরোধে এসব শহরে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের এই ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।
বার্তা সংস্থা আরআইএ-র প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, কিইভ থেকে মানবিক সহায়তার করিডোর বেলারুশের দিকে যাবে এবং খারকিভের বেসামরিক বাসিন্দারা শুধু রাশিয়ার দিকে যাওয়া একটি করিডোর ব্যবহার করতে পারবে। মারিওপোল ও সুমাই থেকে বের হওয়ার করিডোর শহর দুটির বেসামরিকদের ইউক্রেইনের অন্যান্য শহর ও রাশিয়ায় নিয়ে যাবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিইভ ছাড়তে চান এমন বেসামরিকরা চাইলে আকাশপথে রাশিয়ায় যেতে পারবেন। বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াগুলো তারা ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।
তারা বলেছে, “রাশিয়া ও পুরো সভ্য বিশ্বকে ধোঁকা দেওয়ার ইউক্রেইনীয় পক্ষের উদ্যোগ এবার আর কাজ করবে না।”
গত কয়েক দিনের মধ্যে মারিওপোল ও নিকটবর্তী শহর ভলনোবাখা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য অস্ত্রবিরতি কার্যকর করার দুটি পরিকল্পনা ভেস্তে যায় সেজন্য রাশিয়া ও ইউক্রেইন পরস্পরকে দায়ী করে আসছে।
ইউক্রেইনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু মারিওপোল থেকেই দুই লাখ মানুষ বা শহরটির অর্ধেক বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তারা।