রান্নাবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া-২০২১’-এর দ্বিতীয় রানারআপ (তৃতীয় স্থান) হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী। তিন মাস ধরে চলা এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়। খবর নিউজ ডটকম।
প্রতিযোগিতার এবারের ত্রয়োদশ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ২৭ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় জাস্টিন নারায়ণ। প্রথম রানার-আপ হয়েছেন পিট ক্যাম্পবেল। চ্যাম্পিয়ন জাস্টিন নারায়ণ পেয়েছেন প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা পুরস্কার। তৃতীয় হয়ে কিশোয়ার পেয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী পিট ক্যামবেল পেয়েছেন প্রায় ২০ লাখ টাকা।
দুদিনের গ্র্যান্ড ফিনালের প্রথম দিনে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন কিশোয়ার। অন্যদিকে ৫৩ পয়েন্টে শীর্ষে ছিলেন পিট আর ৫০ পয়েন্টে তৃতীয় ছিলেন জাস্টিন। দ্বিতীয় দিন শেষে ১১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কিশোয়ারকে। অন্যদিকে পিটও শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারেননি। তিনি ১২৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। তার চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট বেশি পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হন জাস্টিন।
গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো। সেরা ২৪ জনকে নিয়ে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতায় অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী। আসরের শুরু থেকেই দর্শক জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ছিলেন কিশোয়ার। প্রথম দিন ফিনালে ডিশে কিশোয়ার রান্না করেন ‘স্মোকড ওয়াটার রাইস, আলু ভর্তা ও সার্ডিন। অর্থাৎ বাঙালির কাছে চিরচেনা পান্তা-ভাত, আলু ভর্তা আর সার্ডিন মাছ ভাজি। এই রান্না দেখে ও খেয়ে বিচারকরা অভিভূত হন। তিনজনই দশে দশ দেন কিশোয়ারকে। তবে চূড়ান্ত পর্বের শুরুটা কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল কিশোয়ারের জন্য।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশে প্রচলিত নানা ধরনের খাবারকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার কারণেই ৩৮ বছর বয়সি এই শেফকে অন্যসব প্রতিযোগী থেকে আলাদা করেছে। ব্যক্তিজীবনে কিশোয়ার চৌধুরী একজন বিজনেস ডেভেলপার, পারিবারিক প্রিন্টিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায় হলেও পারিবারিক আবহটা সবসময়ই ছিল বাঙালিয়ানা। তার বাবার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে আর মা কলকাতার বর্ধমানের। তারা প্রায় ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান।