নব্বই দশকে বলিউডের অন্যতম চর্চিত চিত্রনায়িকা ছিলেন সোমি আলী। মিঠুন চক্রবর্তী, সাইফ আলী খান, সুনীল শেঠি, সালমান খানের মতো প্রথম সারির নায়কদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে সালমান খানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
দুই দশক আগে বলিউডকে বিদায় জানান সোমি আলী। এ পরিস্থিতিতে তার অর্থনেতিক অবস্থা কেমন? কীভাবে নিজের প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেন? ‘নো মোর টিয়ার্স’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও পরিচালনা করেন। এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অর্থই বা কোথা থেকে আসে? এমন নানা প্রশ্ন ছিল মানুষের মনে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ সব বিষয়ে কথা বলেছেন সোমি আলী।
এ অভিনেত্রী বলেন—‘‘নো মোর টিয়ার্স’-এর কাজ নিয়ে বেশ ভালো আছি। ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা আমাকে আনন্দ জোগায়। আমার বাবা যথেষ্ট ধনী ছিলেন। ছোটবেলায় যে ম্যানসনে থাকতাম তাতে ২৮টি ঘর ছিল। গোটা দোতলা জুড়ে ছিল বিরাট এক স্টুডিও। ক্যামেরাম্যান হিসেবে ফিল্মি দুনিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বাবা। কিন্তু তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমাই তাকে রাতারাতি কোটিপতি বানিয়ে দেয়। এরপর আমাদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।’’
সোমি আলীর কাছে টাকা মূল্যহীন। তার ভাষায়—‘যতক্ষণ মানুষের কল্যাণে লাগে, ততক্ষণ টাকার মূল্য আছে। এছাড়া আমার কাছে টাকার কোনো মূল্য নেই।’
অল্পতেই তুষ্ট সোমি আলী। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন—‘আমি একা থাকি। কাজ ছাড়া বাড়িতেই সময় কাটাই। জামাকাপড়, শপিং কিংবা বহুমূল্যবান গহনা কেনার কোনো ঝোঁক নেই। অল্পতেই খুশি থাকার চেষ্টা করি। সারাদিন গার্হস্থ্য হিংসা, অত্যাচারের শিকার মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কেটে যায়। এরপর আর অন্য কোনো দিকে মন যায় না। দিতে ইচ্ছেও করে না।’