যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) ফাঁদে ফেলে যৌন অপরাধীদের ধরতে সহায়ক নারী কর্মীদের ছবি ব্যবহার করেছে। একটি নজরদারি সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
নজরদারি সংস্থাটির প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ মেনে নিয়েছে এফবিআই। তারা তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, এফবিআই এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের নীতিতে বদল আনবে। একই সঙ্গে নতুন নীতি বাস্তবায়ন করবে তারা।
নজরদারি সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে ফাঁদ পেতে যৌন অপরাধীদের ধরতে এফবিআইয়ের এজেন্টরা তাঁদের অধস্তন নারী কর্মীদের (সাপোর্ট স্টাফ) ছবি ব্যবহার করেছেন। এ ক্ষেত্রে নারী কর্মীদের ছবির মুখমণ্ডল ঝাপসা করে দেওয়া হয়েছে।
এফবিআইয়ের এজেন্টরা এমন কতগুলো ক্ষেত্রে তাঁদের অধস্তন নারী কর্মীদের ছবি ব্যবহার করেছেন, তা প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
এফবিআইয়ের জনৈক এক এজেন্টের বিরুদ্ধে তাঁর এক নারী সহকর্মীর অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। গোপন অভিযান চালানোর লক্ষ্যে অনলাইনে দেওয়ার জন্য ওই নারী সহকর্মীর (সাপোর্ট স্টাফ) কাছে এফবিআইয়ের এজেন্ট খোলামেলা ছবি চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
তদন্তকালে দেখা যায়, এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্টরা অনলাইনে ফাঁদ পাতার জন্য তাঁদের সহায়ক নারী কর্মীদের ছবি মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেছেন। ছবিগুলো এমনভাবে তোলা হতো, যাতে তাঁদের অল্প বয়সী বা যৌনকর্মী বলে মনে হয়। তবে এমন কাজের জন্য সহায়ক নারী কর্মীদের ছবি ব্যবহার করার বিভাগীয় অনুমোদন নেই।
নজরদারি সংস্থার পর্যবেক্ষণে বলা হয়, অনলাইনে ফাঁদ পাতার জন্য নিজেদের সহায়ক নারী কর্মীদের ছবি ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। এতে এই নারী কর্মীদের নাজেহাল বা যৌন অপরাধীদের কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শিশুদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট অপরাধ মোকাবিলায় মার্কিন বিচার বিভাগের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স ২০২০ সালে ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি ঘটনা তদন্ত করেছে। এ তদন্তের মাধ্যমে ৯ হাজার ২০০ জনের বেশি সন্দেহভাজন যৌন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।