বয়স বেড়ে গেলে মানুষের ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। এজন্য ত্বকে পড়ে বলিরেখা। এক্ষেত্রে ত্বকের চামড়া কুচকে যায় কিংবা ত্বকের বিভিন্ন অংশে বলিরেখার ছাপ পড়ে। যা আপনার বয়স আরও বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট।
শুধু বয়স নয়, ত্বকে মানহীন প্রসাধনী ব্যবহার করার প্রভাবে দ্রুত এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে সঠিক খাদ্যাভাস ও ঘরোয়া কিছু উপায় ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের বলিরেখা সহজেই দূর করা যায়। জেনে নিন করণীয়-
>> অ্যাভোকাডোকে বলা হয় সুপার ফুড। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা ত্বকে বার্ধক্য বিরোধী প্রভাব ফেলে। এজন্য অ্যাভোকাডো ফলের পাল্প পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে বলিরেখা কমে যায়।
>> মধু অনেক রোগ নিরাময় করে। মুখের বলিরেখা পড়া স্থানে আঙ্গুল দিয়ে মধু ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন। এই প্রক্রিয়াটি কয়েকদিন করলেই বলিরেখার সমস্যা কমতে শুরু করবে।
>> আপেল সিডার ভিনেগারে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু পানির সঙ্গে মুখ ধুয়ে নিন। মুখের বলিরেখা কমাতে এটি খুবই উপকারী।
>> ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারেও কমাতে পারেন বলিরেখা। আঙুল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভিটামিন ই অয়েল রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করুন। বিজ্ঞানীর মতে, ভিটামিন ই বার্ধক্যজনিত বলিরেখা রোধ করে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
>> অ্যালোভেরা জেল মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে বলিরেখা কমে। এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন একবার অনুসরণ করুন।
>> পেঁপে এবং কলার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি ১৫-২০ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে দু’বার করুন। পেঁপেতে আছে বিটা ক্যারোটিন আর কলাতে বার্ধক্য বিরোধী বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।
>> হলুদে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। হলুদ ও আখের রস দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক মুখে ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়। এটি সপ্তাহে দু’বার করুন।
>> প্রতিদিন ত্বকে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলেও ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর বাইরেও আছে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের বলিরেখা আটকায়। ঘুমানোর আগে ত্বকে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ