দীর্ঘ ২১ বছর বার্সেলোনায় থাকার পর নতুন ঠিকানা হিসেবে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) বেছে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। বৃহস্পতিবার নতুন ক্লাবটিতে প্রথম দিনের অনুশীলনও সেরে ফেলেছেন তিনি। নতুন জায়গায় মানিয়ে নেয়ার কাজটা ভালোভাবেই করছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
তবে মেসির জন্য ফ্রান্সে খেলাটা যে অত সহজ হবে না, তা মনে করিয়ে দিতেও ভোলেননি তার সাবেক সতীর্থ সেস্ক ফ্যাব্রেগাস। যিনি বর্তমানে খেলছেন ফ্রান্সেরই আরেক ক্লাব মোনাকোতে। যারা পিএসজির সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করে লিগ শিরোপার দৌড়ে। তাই মেসিকে সতর্ক করে দিয়েছেন ফ্যাব্রেগাস।
২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনটি মৌসুম মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় খেলেছেন ফ্যাব্রেগাস। এর আগে ইয়ুথ ক্যারিয়ারেও লা মাসিয়ায় সতীর্থ ছিলেন মেসি ও ফ্যাব্রেগাস। তাই স্প্যানিশ তারকা বার্সেলোনা ছেড়ে গেলেও তাদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরেনি। বরং তা প্রতিনিয়ত শক্তই হয়েছে।
দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধুকে সতর্ক করে দিয়ে ডেইলি মেইলে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফ্যাব্রেগাস বলেছেন, ‘অবশ্যই পিএসজি যখন লিগ জিততে ব্যর্থ হয়, তখন সবাই এটিকে ভয়াবহ ব্যর্থতা হিসেবেই ধরে নেয়। কারণ তারা (পিএসজি) অনেক বেশি টাকা ব্যয় করেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সবাই এটিকে (লিগ ওয়ান) এক দলের লিগ মনে করে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে মোনাকো এবং লিল কিন্তু এটি ভেঙে দেখিয়েছে। বিষয়টা মানুষ যত সহজ ভাবে তেমন নয়। এখানে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ আগ্রাসী দল রয়েছে। যাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন তরুণ খেলোয়াড় আছে।’
তবে প্যারিসের ক্লাবে মেসির আগমন যে পুরো ফ্রান্সের ফুটবলের জন্যই অনেক বড় একটা ইতিবাচক জোয়ার বয়ে এনেছে, তাও জানিয়েছেন ফ্যাব্রেগাস। বিশেষ করে সব দলের খেলোয়াড়রাই এখন মেসির বিপক্ষে খেলার জন্য অপেক্ষায় থাকবে বলে মনে করেন তিনি।
ফ্যাব্রেগাস বলেছেন, ‘সব ছেলেরাই উত্তেজিত, মেসির বিপক্ষে খেলতে পারবে জেনে। সবাই তার (মেসি) জার্সি চায়। আমি তাদের বলেছি, আমরা এখানে ২৫ জন এবং তার কাছে হয়তো সর্বোচ্চ দুইটা জার্সিই থাকবে।
এসময় নিজ দল মোনাকোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মোনাকো দলটিতে অনেক তরুণ প্রতিভা রয়েছে। এটা (মেসির আগমন) তাদের জন্য দারুণ এক পরীক্ষা হবে। যখন সেরা খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হতে হয়, তখন তারা নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টাই করবে। আমাদের মেসিকে ছাড়াও সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে।’