এবার বিনাভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আবদার করেছেন ইসরাইলিরা। নির্বাচিত হয়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এ অনুরোধ করেন।
এ ছাড়া সমরাস্ত্র রফতানি এবং ইরান ইস্যুতে বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। খবর আরব নিউজের।
তবে কোনো বিষয়েই পাত্তা পাননি নাফতালি বেনেট। কাবুল পরিস্থিতি নিয়ে প্রচণ্ড চাপে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সুর হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে।
এতদিন ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের মুখে এখন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার কথা শুনে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে।
এ সময় ব্লিঙ্কেন তাকে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের কথা এবং স্বাধীনতার কথা বলেন। তিনি বলেন, দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান করতে হলে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার কথাও ভাবতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইজ এক সংবাদ সম্মেলনে ইসবাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, ইসরাইলের মতো একই ধরনের স্বাধীনতা এবং মর্যাদা ফিলিস্তিনিরাও প্রত্যাশা করেন। এ কথাটিই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে স্পস্ট করে বলেছেন ব্লিঙ্কেন।
এ ছাড়া ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আয়রন ডোম আর আগের মতো কাজ না করায় যুক্তরাষ্ট্র এ সমরাস্ত্র আর কিনবে না বলেও জানিয়ে দেয়।
সব মিলিয়ে প্রথম সফরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শূন্যহাতেই ফিরতে হচ্ছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে।