আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি চিহ্নিত মহল হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কুমিল্লার নানুয়াদীঘির ঘটনা ঘটিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলব, আপনারা নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজা উদযাপন করুন। জনগণ ও সরকার আপনাদের পাশে আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, অতীতে যারা পদ্মাসেতু নিয়ে নানা ধরনের গুজব রটিয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশ ও মানুষের কল্যাণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই একই মহল এবারের ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং একে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে গুজব রটনা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত কয়েক বছরের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নানুয়াদীঘির পাড়ে যে মন্দিরে কুরআন শরিফ পাওয়া গেছে বলে বলা হচ্ছে, সেখানে আমি অনেকের বক্তব্য দেখেছি। সেখানে অত্যন্ত শান্ত একটি পরিবেশে হিন্দু, মুসলিম ভাইরা মিলে শান্তিপূর্ণভাবে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছেন। রাতের বেলায় মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কোনো মানুষ ছিল না, বাতিও বন্ধ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কে বা কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, সেটি পুলিশ তদন্ত করছে। সেটি খুব সহসা বের হবে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, যখন পদ্মাসেতুর পিলারের কাজ শুরু হলো তখন গুজব রটিয়ে দেওয়া হলো যে পদ্মা সেতুতে নরবলি দিতে হবে। আবার সেটির প্রেক্ষিতে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হলো। অনেকগুলো নিরীহ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হলো। যারা এই সরকারের আমলে পদ্মাসেতু হবে না বলেছিল ও পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বব্যাংককেও যুক্ত করেছিল এবং পরে বিশ্বব্যাংক লজ্জাজনকভাবে আদালতে হেরে যাওয়ায় সব অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়েছিল। ড. হাছান বলেন, সারা দেশে এটির প্রেক্ষিতে গতকাল যে উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছিল, পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সেটি কঠোর হস্তে দমন করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। আমি জনগণকে অনুরোধ জানাব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়, গুজবে কান দেবেন না।