কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধার আওতায় আসা বিলাসবহুল ১১০টি গাড়ি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ম-কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজস্ব বোর্ডের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর এই গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে। এনবিআর ও চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়েসবাইটে নিলাম সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
এনবিআর জানায়, নিলাম থেকে কেউ গাড়ি কিনতে চাইলে তাকে টেন্ডার জমা দিতে হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও মোংলায় কাস্টম অফিসে রাখা টেন্ডার বাক্সে টেন্ডার আবেদন খামে জমা দিতে হবে। আগ্রহী কেউ গাড়ি দেখতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ছবিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে আগে থেকে পাস নিতে হবে। গাড়ি পরিদর্শনের তিনদিন আগে আবেদন করতে হবে। গাড়ি পরিদর্শনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭, ২৮ অক্টোবর এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
রাজস্ব বোর্ড জানায়, এবার অনলাইন নিলামে অংশ নিতে পারবেন ক্রেতারা। এজন্য ১৮ অক্টোবর সশরীরে বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। এনবিআর ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ওয়েবসাইটে নিলামে তোলা পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ দু-একদিনের মধ্যে আপলোড দেওয়া হবে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো নিলামে তোলা হচ্ছে এসব গাড়ি। আগের চারটি নিলামে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পর্যটক সুবিধায় এক দশক আগে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পর্যটকরা। শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনার পর আটকে যায় গাড়িগুলো। ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে খালাসের শর্তারোপ করার পরই খালাস না নিয়ে সরে পড়েন পর্যটকরা।
জানা গেছে, নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি হলো যুক্তরাজ্যের তৈরি ল্যান্ড রোভার গাড়ি। এ ধরনের সাতটি গাড়ি রয়েছে। ১১০টি গাড়ির অর্ধেকই মার্সিডিজ বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এসব গাড়ির অনেকগুলোর চাকা ও ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। অন্য গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস ও মিৎসুবিসি।