জনশক্তি রফতানি বাড়লেও রেমিট্যান্স কমার প্রধান কারণ হুন্ডি। ব্যাংকগুলো এখন রেমিট্যান্সে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দর দিচ্ছে। সেখানে হুন্ডি কারবারিরা ১১০-১১২ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে । আবার কোনো ঝামেলা ছাড়াই প্রবাসীর কর্মস্থলে গিয়ে তারা অর্থ সংগ্রহ করে। আবার ভিন্নমতও আছে, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়লেই যে রেমিট্যান্স বাড়বে সেটাও নয়। করোনার পর গত বছর দেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ বিদেশে গিয়েছে। এতে কিন্তু রেমিট্যান্স বাড়েনি। বিদেশে কী পরিমাণ দক্ষ কর্মী পাঠানো হচ্ছে সেটাই বড় বিষয়। কেননা অদক্ষ কর্মী পাঠালে তাদের ব্যয়ের টাকা তুলতেই কয়েক বছর লেগে যায়। এছাড়া সৌদি আরবের পর বৈদেশিক কর্মসংস্থানের বড় বাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ থাকাও রেমিট্যান্স কমার ক্ষেত্রে বড় কারণ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
আর হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে এ ধারণাকেও উপেক্ষা করা যাবে না। সব মিলিয়ে চলমান সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় আমাদের সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই এক্ষেত্রে রিজার্ভ সংকট এড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স বাড়াতে যা যা করণীয় সেগুলো করতে হবে। কেননা রেমিট্যান্স প্রবাহ যে হারে কমছে তাতে ডলার সংকট আরো তীব্র হবে।
তাই ব্যাংকিং সেক্টরে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে প্রণোদনার অংক আরও বাড়ানো উচিত বলে আমরা মনে করছি।