যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া যায় কয়েক মুহূর্তে, অথচ সেগুলি পূরণ হয় না যুগের পর যুগ শেষ হওয়ার পরও। সরকারের কাছে প্রবাসীদের প্রত্যাশfটা এমন নয় যে, তাদের গাড়ি-বাড়ি দিতে হবে। তাদের প্রত্যাশা সম্মান এবং কিছু সুযোগের। প্রবাসীদের বলা হয় রেমিটেন্স যোদ্ধা, অথচ তারাই আজ সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার।
বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতির কারণে দেশের রিজার্ভ ধরে রাখার বড় উৎস প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ। এই নিদানকালেও প্রতি মাসে কোটি কোটি ডলার দেশে পাঠাচ্ছে তারা। অথচ তাদের নেই কোনো নিরাপত্তা ও সম্মান।
অনেক প্রবাসীরা দেশে ফেরেন লাশ হয়ে। কিন্তু তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো হয় না, এবং তাদের পরিবারকে করা হয় না আর্থিক সহায়তা কিংবা তাদের পরিবারের পাশেও দাঁড়ায় না রাষ্ট্র। দেশের বাইরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে যে সম্পদ গড়েন। খুব কমই ভাগ্যবান প্রবাসী আছেন যারা দেশে ফেরে সেটা ভোগ করতে পারেন।
দেশে বিনিয়োগেরও নেই সুষ্ঠু পরিবেশ। প্রবাসী নাম শুনলেই অনেকে মনে করেন টাকার কুমির। সুতরাং তাদের কাছ থেকে ঘুষ না নিয়ে কাজ করতে চায় না এবং সেটার পরিমাণও বেশি থাকে। এছাড়াও সরকারী বিভিন্ন লাইসেন্স, অনুমোদনেও করা হয় দীর্ঘসূত্রতা।
সুতরাং, সবখানে চাই একটা প্রবাসী বান্ধব পরিবেশ। যাতে প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ করতে পারে এবং তাদের যথাযথ সম্মান দেয়া হয় এবং তাদের পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়।