বিচারপতি নিয়োগে আইন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, বিচারপতি নিয়োগে আইন করা অপরিহার্য। তা হলে মানুষের ভিত্তিহীন অভিযোগ দূর হবে।
বুধবার আপিল বিভাগে বিদায়ী সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কই দেশে গণতন্ত্র বিকশিত করে।
তিনি বলেন, মামলাজট নিরসনে পর্যায়ক্রমে আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ ও নিম্ন আদালতের বিচারক সংখ্যা দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।
শেষ কর্মদিবসে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।
বুধবার সকালে সুপ্রিমকোর্ট আপিল বিভাগের এজলাসকক্ষে রীতি অনুযায়ী ছিল এই আয়োজন।
সংবর্ধনায় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এবং আইনজীবী সমিতির পক্ষে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ শফিক উল্ল্যাহ।
প্রসঙ্গত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাচ্ছেন ৩১ ডিসেম্বর। ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিমকোর্টে শুরু হচ্ছে অবকাশ। ফলে অবকাশে বসবে না আপিল বিভাগ। তাই দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আজ শেষ বিচারিক কর্মদিবস পালন করলেন তিনি।
এদিকে অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থী অংশ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাচ্ছেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তবে ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হচ্ছে অবকাশ। আর অবকাশে বসবেন না আপিল বিভাগ। এছাড়া ১৬–১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি। তাই প্রধান বিচারপতি হিসেবে আজ বুধবারই শেষ কর্মদিবস বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের।
রীতি অনুযায়ী শেষ কর্মদিবসে প্রধান বিচারপতিকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।