চট্টগ্রামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের অধিকাংশ কোয়ার্টার খালি পড়ে আছে। সেসব বাসায় থাকেন না কোনো চিকিৎসক ও স্টাফ। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় কোয়ার্টারগুলো আরো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, কোয়ার্টারগুলো অনেক পুরোনো। পরিবার নিয়ে বসবাসের মতো অবস্থা নেই। অবকাঠামো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও গ্যাসের ব্যবস্থা নেই। তাই চিকিৎসকরা কোয়ার্টারে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। এসব কোয়ার্টার মেরামতের জন্য চিঠি পাঠানো হলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় ৩১ ও ৫০ শঘ্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ উপজেলায় চিকিৎসকদের কোয়ার্টারগুলো খালি পড়ে আছে। কোয়ার্টারের অবকাঠামো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে দূরের হাসপাতালগুলোতে কয়েক জন চিকিৎসক বসবাস করলেও অধিকাংশ কোয়ার্টার খালি রয়েছে। ফলে অনেকেই উপজেলা সদর ও চট্টগ্রাম শহরের বাসায় থেকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিক্যাল অফিসাররা কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে—কোয়ার্টারে না থাকায় বিকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এসব হাসপাতালের কর্মচারী ও নার্সদের কোয়ার্টারগুলোরও একই অবস্থা। অধিকাংশ কর্মচারী এবং নার্স থাকেন না কোয়ার্টারে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের কোয়ার্টারগুলো বছরে পর বছর খালি পড়ে রয়েছে। এখানে চিকিৎসকদের ছয়টি কোয়ার্টারই খালি। কোনো চিকিৎসক থাকেন না। কর্মচারীদের কোয়ার্টারগুলোতে সাত জন স্টাফ থাকেন। এখানে চিকিৎসকদের কোয়ার্টার নিয়ে একই অভিযোগ। কিন্তু বিগত কয়েক বছরের মধ্যে কোয়ার্টারে চিকিৎসকরা বসবাস করেছেন, এমন কোনো নজির নেই।