একে একে টপ অর্ডাররা যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছিল তখন মিডল অর্ডারে প্রাচীরের মত দাঁড়িয়ে যান বাবর আজম এবং ফাওয়াদ আলম। বাবর আজম ৭৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও ফাওয়াদ আলম করেন অনবদ্য সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। পাকিস্তানও ৯ উইকেটে ৩০২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।
কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে করা দুরন্ত শতরান দিয়ে এরই মধ্যে রেকর্ডের পাতায় নাম লিখে ফেলেছেন ফাওয়াদ। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে তিন ভারতীয় ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কার, সৌরভ গাঙ্গুলি এবং চেতেশ্বর পূজারাকে পেছনে ফেলে দিলেন তিনি।
ফাওয়াদ আলম এ নিয়ে ক্যারিয়ারের ১৩ নম্বর টেস্টের ২২তম ইনিংসে পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। এশিয়ান ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচটি শতরান করেন ফাওয়াদ। সে সঙ্গে উপরোক্ত তিন ভারতীয় ক্রিকেটারকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন ফাওয়াদ। শুধু তাই নয়, নিজ দেশ পাকিস্তান, পাশের দেশ ভারত কিংবা শ্রীলঙ্কার অন্যসব কিংবদন্তির চেয়ে দ্রুততম ইনিংসে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।
সুনিল গাভাস্কার ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেন ২৫ ইনিংসে ব্যাট করে। সৌরভ গাঙ্গুলি ৫ টেস্ট সেঞ্চুরি করতে খরচ করেন ২৪ ইনিংস। পূজারা ২৫ টেস্ট ইনিংস খেলে করেন পঞ্চম সেঞ্চুরি।
পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে কম ইনিংসে পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরির করার নজিরও এখন ফাওয়াদের দখলে। এতদিন এই রেকর্ড ছিল ইউনিস খানের। তিনি ২৮টি ইনিংসে ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন।
স্যাবাইনা পার্কের সেঞ্চুরির সুবাদে টেস্ট শতরানের হিসেবে পাক অধিনায়ক বাবর আজমকে ছুঁয়ে ফেলেন ফাওয়াদ। বাবর এখনও পর্যন্ত ৩৫টি টেস্টের ৬২টি ইনিংস খেলে ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন।
৩৫ বছর বয়সী ফাওয়াদ আলমের টেস্ট ক্যারিয়ার খুবই অনিশ্চিত। ২০০৯ সালে টেস্ট অভিষেক হয় এবং অভিষেকেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরপর হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে যান ফাওয়াদ। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবারও ২০২০ সালে পাকিস্তান দলে ফিরে আসেন তিনি। এরপর করলেন আরও চারটি সেঞ্চুরি।