মঙ্গলবার , ২৯ মার্চ ২০২২ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

করোনায় সর্বস্ব হারালেন পঞ্চগড়ের শাহানা

প্রতিবেদক
Probashbd News
মার্চ ২৯, ২০২২ ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

Spread the love

 

করোনার শুরুতেই হারিয়েছেন চাকরি। বাড়ি ফিরে দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন এক হাত। কোন মতে ঠাঁই হয়েছিল মানুষের জায়গায়। ইচ্ছে ছিলো এক হাত নিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু তার আগেই মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু হারাতে বসেছেন এই নারী। স্বামী সন্তান নিয়ে চরম হতাশায় কাটছে তার দিন।

পঞ্চগড় জেলা শহরের পূর্ব জালাসী এলাকার শাহানা বেগম বিয়ের পর স্বামীসহ ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন। সুন্দরভাবেই চলছিল তাদের দুই সন্তানসহ চারজনের সংসার। কিন্তু করোনা তাদের জীবনে আসে অভিশাপ হয়ে। করোনার শুরুতেই চাকরি হারান এই দম্পতি। তারপর থেকেই তাদের জীবনে নেমে আসে একের পর এক সংকট।
বাড়ি ফিরে শাহানার স্বামী আনোয়ার হোসেন শান্ত হোটেল শ্রমিক ও শাহানা সেলাইয়ের কাজ করে কোন মতে সংসার চালাচ্ছিলেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার টাকা ঋণ আবেদন করেছিলেন শাহানা।ওই টাকা দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে পোশাক তৈরির কাজে লাগানোর কথা ছিলো। কিন্তু সেই টাকার খোঁজ নিতে গিয়ে গত বছরের ২৫ মার্চ একটি বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় ডান হাত হারান শাহানা। গুরুতর আহত শাহানার চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজেদের কিছু পুঁজিসহ ধারদেনা করে ৪ লাখ টাকা খরচ করে তার পরিবার এখন নিঃস্ব। এক ব্যক্তির সহযোগিতায় কৃত্রিম হাত সংযোজন হলেও তা কোন কাজে আসছে না। থাকার জায়গাটুকুও নেই। বড় বোন ফাহিমা এক টুকরো জমি দিয়েছিলেন বাড়ি করার জন্য। সেখানে কোন মতে টিনের চালার একটি ঘর তোলে থাকতেন তারা। তার পাশেই এক হাতে শাহানা চাষ করেছিলেন নেপিয়ার ঘাস আর শাক সবজি। স্বামীকে একটি এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে কিনে দিয়েছেন ব্যাটারি চালিত ভ্যান। সপ্তাহে ১৩৫০ টাকা ঋণের কিস্তি দিতে হয় তাকে। মেয়ে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। ছেলের বয়স দুই বছর। প্রতি মাসে মেয়ের লেখাপড়ার পেছনে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ করতে হয় তাদের। টাকার অভাবে মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে রোজ ৩ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। বিদ্যুৎহীন বাড়িটিতে অন্ধকারে প্রদীপ জ¦ালিয়ে কাজ করেন তারা। এভাবেই চলছিল তাদের টানাপোড়েন জীবন। এবার সেই আশ্রয়টুকুও হারাতে বসেছেন। অভাবে পড়ে তার বোন জমিটুকু এবার বিক্রি করে দিচ্ছেন। সব হারিয়ে শাহানা এখন স্বামী সন্তান নিয়ে কোথাও থাকবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় কাটছে তাদের দিন। অসহায় পরিবারটি একটু মাথাগোঁজার ঠাঁই চান।

শাহানা চাইলে তার মাথাগোঁজার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

সর্বশেষ - প্রবাস

Translate »