ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্দাওয়া জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিজের মেয়ের অসম্মানকে মেনে নিতে না পেরেই এই পথ বেছে নেন বাবা, এমন ধারণা করা হচ্ছে।
১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন ৫৫ বছর বয়সী ত্রিলোকচাঁদ। ঘটনার সত্যতা জানার পর গত শনিবার (২৬শে মার্চ) মেয়ের বাবা ও মামা ত্রিলোকচাঁদকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে আজনল নদীর পাশে নিয়ে যান। পরে, মাছ কাটার ছুরি দিয়ে তাকে মেরে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
হত্যার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ও হত্যাকারীরা সম্পর্কে আত্মীয় হন।
রবিবার (২৭শে মার্চ) ত্রিলোকচাঁদের শরীর আজনাল নদীতে ভাসতে দেখা যায়। পুলিশ পরিদর্শক বিবেক সিং জানান, নদীতে মরদেহ ভাসার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তার পরিচয় প্রকাশ্যে আসে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রবিবার (২৭শে মার্চ ) জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে আজনল নদীতে একটি মরদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশ ভাসতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়তেই জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম ত্রিলোকচাঁদ, বয়স ৫৫ বছর।
ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির খণ্ডিত দেহ আজনাল নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা এবং মামাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, ত্রিলোকচাঁদ ওই ব্যক্তিদের আত্মীয় ছিলেন।